ফুলের ব্যবসা

ফুলের ব্যবসা


Posted on: 2022-01-26 21:52:03 | Posted by: eibbuy.com
ফুলের ব্যবসা

ফুলের ব্যবসার আইডিয়াঃ
ফুল পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গৃহসজ্জার জন্য মানুষ ফুল ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া প্রিয়জনকেও ফুল উপহার দিয়ে থাকে। নানান অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়।এজন্য আপনি ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ফুলের যোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান। ফুলের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা।আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয় । এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আমরা শুরু করতে পারি ফুলের ব্যবসা। আমাদের দেশের ঢাকার সাভার মুন্সিগঞ্জ, যশোর প্রভৃতি এলাকায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল উৎপাদন করে ফুলের ব্যবসা করা হয়। এছাড়া শহরের শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো থেকে পাইকারী দামে ফুল কিনে ফুলের ব্যবসা করা যাবে। ফুল গুলো কিনে এনে আপনি ও শুরু করে দিতে পারেন ফুলের ব্যবসা । ফুলের ব্যবসা বেকার নারী-পুরুষ যে কেউ শুরু করে দিতে পারেন।

ফুলের ব্যবসার বাজার সম্ভাবনা
সাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ দিন গুলিতে অনেক বেশী চাহিদা থাকে। যেমন ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর । বিশেষ করে শীতকালে বিয়ে, গায়ে হলুদ, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে ফলে এ সময় ফুলের ব্যবসা রমরমা থাকে। এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে।

ফুলের ব্যবসার জন্য স্থান নির্বাচন  ঃ
প্রথমেই ফুলের ব্যবসা দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতের পাসেই ফুলের ব্যবসা দেবার উপযুক্ত স্থান। ফুলের দোকানের সামনে দোকানের নাম দিয়ে একটি সাইনবোর্ড দিতে হবে, তাহলে সহজেই তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সাধারণত শহর বা মফস্বল এরিয়াগুলিতে  ফুলের ব্যবসা ভালো চলে। ফুলের দোকানে আপনি গতানুগতিক ফুলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের আনকমন ফুল রাখবেন,যেন ক্রেতাদের আকর্ষন হয়।

 
ফুলের দোকানের জন্য মূলধনঃ

ফুলের দোকান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্থায়ী উপকরণ কিনতে ২০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। ফুল সাজানোর জন্য এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার প্রয়োজন হবে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ফুল কেনার জন্য ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দোকান ঘর ভাড়া নিতে চাইলে দোকান ঘরের পজিশন ও ভাড়া বাবদ আরও ১ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। ৩ লাখ টাকা দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন একটা ফুলের ব্যবসা।


 ফুলের দোকান সাজানোর জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
আপনি আপনার ফুলের দোকান নিজের পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে  পারেন এতে করে ফুলের দোকান সাজানোর জন্য আপনার অতিরিক্ত খরচটা বেচে যাবে । যা দিয়ে আপনি ফুলের দোকান সাজানোর জন্য অনান্য উপকরন কিনতে পারবেন। ফুল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ফুলদানি ও ঝুড়ির ব্যবস্থা করুন। পানি রাখার জন্য কয়েকটি বালতি রাখতে হবে। একই সঙ্গে সুন্দর র্যানপিং পেপার, স্কচটেপ, কাঁচি, সুতা, ডালা বানানোর টেবিল প্রভৃতি উপকরণের প্রয়োজন পড়বে। অনান্য বিক্রেতাদের তুলনায় আপনি আপনার ফুলের দোকান একটু ভিন্ন ভাবে ডেকোরেশন করবেন, ভিন্ন ধরনের ফুল রাখতে পারেন,যাতে আপনার  ফুলের দোকানের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষন বেশি থাকে।  এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ফুল গুলি এখন অনেক জনপ্রিয়। আপনি চাইলে এসব ফুল দিয়েও আপনার দোকান সাজিয়ে নিতে পারেন। ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানা জাতের ফুল আলাদা আলাদা টবে ডেকোরেশন করে রাখতে পারেন।

ফুলের যত্ন
ফুলের ব্যবসায় কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় ফুলের ব্যবসাটা একটু ভিন্ন। অর্থাৎ, এ ব্যবসার পণ্য হচ্ছে ফুল, যা বেশিদিন তাজা থাকে না; পচে যায়। সুতরাং এর যত্ন নিতে হবে। টাটকা ও সতেজ রাখার জন্য নিয়ম করে ফুলে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।

ফুলের দোকান পরিচালনার নিয়ম
দোকান নির্বাচন করার পর দোকানে কাঠের তাকগুলো দেয়াল ঘেঁষে সাজিয়ে নিতে হবে। তাকগুলোর   উপর মাটি বা কাঁচের ফুলদানিতে ফুল সাজিয়ে রাখতে পারেন।
একেক ফুলদানীতে একেক ফুল রাখতে হবে। এছাড়া বেত বা বাঁশের ঝুড়িতে কিছু ফুল বিক্রয়ের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে।
ফুল টাটকা ও সতেজ রাখার জন্য ফুলের উপর মাঝে মাঝে পরিস্কার পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।


যে এলাকায় যেসব ফুলের চাহিদা বেশি থাকে সেসব ফুল বেশি রাখতে হবে। গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা ইত্যাদি ফুল সাধারণত নানান অনুষ্ঠানে ঘর ও গাড়ী সাজানোয় বেশি ব্যবহার করা হয়। তাই এই সব ফুল বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন ধরণের কিছু ফুল রাখলেও তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বর্তমানে শহরে গ্লাডিওলাস, অর্কিড,দোলনচাঁপা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা বেড়েছে। তাই এই ফুলও বেশি পরিমাণ রাখা যেতে পারে। স্থান বুঝে ফুল রাখতে হবে।
যে সব ফুল সহজেই নষ্ট হয়ে যায় সে সব ফুল কম পরিমাণে রাখাই ভালো।


দোকানে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, গাড়ি সাজানো বা নানানভাবে ফুল সাজানোর ছবিসহ একটি বই রাখলে ভালো হয়। তাহলে ক্রেতা তা দেখে ঘর বা গাড়ি সাজানোর অর্ডার দিতে পারবে। আর ফুল সাজানোর জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে।


দুইভাবে এই ব্যবসা থেকে আয় করা যাবে। খুচরা ফুল, ফুল সাজানো ঝুড়ি বা তোড়া বিক্রয় করে তার বিনিময়ে টাকা নেয়া যাবে। আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্রেতাদের নির্দেশ অনুযায়ী ঘর, বাড়ি বা গাড়ি সাজিয়ে দিয়ে তার বিনিময়ে ফুলের দাম ও মজুরি নেয়া যাবে।

সাবধানতা
সব সময় টাটকা ও সতেজ ফুল রাখতে হবে।
ফুলের দোকান সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ফুলে যেন পোকা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।


 ফুলের ব্যবসায় আয় ও লাভের হিসাব
প্রতিমাসে ৫০০০০ থেকে ১ লাখ টাকার ফুল কিনলে সব খরচ বাদ দিয়ে ফুল বিক্রয় করে ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা আয় করা যাবে। এছাড়া বিনিয়োগ ও বিক্রির উপর লাভক্ষতি নির্ভর করে তাই এক্ষেত্রে হিসাব শুধুমাত্র ধারণা দেবার জন্য। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে। ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।



Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js